উখিয়া-টেকনাফে ক্ষতিগ্রস্থ স্থানীয় জনগোষ্ঠি এবং রোহিঙ্গা সংকট মোকাবেলায় সকল পর্যায়ে স্থানীয় সিবিও-এনজিও অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে ৭ দফা দাবী দিয়েছেন উখিয়া সিবিও-এনজিও এলায়েন্স।
বৃহস্পতিবার (১ সেপ্টেম্বর) বিকেল ৪ টার দিকে উখিয়া প্রেসক্লাব হলরুমে সংগঠনটির প্রধান উপদেষ্টা ও উখিয়া উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মাহমুদুল হক চৌধুরী সভাপতিত্বে জনাকীর্ণ এক সাংবাদিক সম্মেলন করে এই দাবী করেন নেতৃবৃন্দ।
উখিয়া সিবিও-এনজিও এলায়েন্স এর সমন্বয়ক ও হেলপ কক্সবাজারের নির্বাহী পরিচালক আবুল কাশেম সমন্বয়ে আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন, উখিয়া কলেজের ইতিহাস বিভাগের প্রধান অধ্যাপক তহিদুল আলম, সাংবাদিক সুলতান মাহমুদ চৌধুরী, সিবিও প্রতিনিধি ছৈয়দ হোছন।
এ সময় বক্তারা বলেন, ২০১৭ সালের ২৫ আগস্ট পরবর্তী মিয়ানমার থেকে বাস্তুচ্যুত হয়ে ১০ লাখের বেশি রোহিঙ্গা আশ্রয়ের ৫ বছর পার হলেও ক্ষতিগ্রস্থ স্থানীয় জনগোষ্টির জন্য বরাদ্ধকৃত অর্থের সুফল পাচ্ছেনা স্থানীয়রা।
অথচ স্থানীয় জনগোষ্টির দু:খ দুর্দশার কথা ভেবে জাতিসংঘের মাধ্যমে রোহিঙ্গাদের জন্য বরাদ্ধের ৩০% স্থানীয়দের উন্নয়নে ব্যয় করার কথা ছিল।
বক্তারা বলেন, সবার আগে ক্ষতিগ্রস্থ হোষ্ট কমিউনিটি চিহ্নিত করা দরকার। তারপর বরাদ্ধকৃত অর্থ স্থানীয় সিবিও-এনজিও’র মাধ্যমে বাস্তবায়ন করতে হবে। দাবী জানান নেতৃবৃন্দ।
উখিয়া সিবিও-এনজিও এলায়েন্স এর ৭ দফা দাবী সমূহ:
১। স্থানীয় জনগোষ্ঠীর উন্নয়ন কর্মসূচীর জন্য বরাদ্ধ ৩০% নিশ্চিত করা এবং স্থানীয় সিবিও-এনজিও’র মাধ্যমে বাস্তবায়ন করতে হবে।
২। শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান নিশ্চিত করার জন্য স্থানীয় এনজিও সিবিও’র মাধ্যমে কর্মসূচীর পরিচালনা করতে হবে।
৩। HOSOG এবং UCNA এর প্রতিনিধির অন্তর্ভুক্তি নিশ্চিত করতে হবে।
৪। রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শনে গুরুত্বপূর্ণ টিমে এলায়েন্স প্রতিনিধির সাথে সাক্ষাতের সুযোগ থাকতে হবে।
৫। চাকুরীতে স্থানীয়দের অগ্রাধিকার দিতে হবে। যারা চাকুরীতে আছে তাদের ছাটাই বন্ধ করতে হবে।
৬। রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে।
৭। কক্সবাজারের মানবিক কর্মসূচী পরিচালনায় যোগাযোগের মাধ্যম হিসেবে বাংলার প্রচলন করতে হবে।
পাঠকের মতামত